প্লেটোর ইউটোপিয়া ও অন্যান্য প্রসঙ্গ
2004م - 1446هـ
মশিউল আলমের অনূদিত এই বইটা পড়া হলো দার্শনিক সরদার ফজলুল করিমের ব্যাক্তিগত সংগ্রহ থেকে। সম্ভবত ‘প্লেটোর ইউটোপিয়া ও অনান্য প্রসঙ্গ’ পড়বার এটাই মূল কারণ। আসলে বইয়ের মার্জিন জুড়ে সরদার সাহেবের নিজের হাতে লেখা নানান টুকটাক নোট পড়তে পারা নিঃসন্দেহে বিরল এক পাওয়া আর বই এর প্রথম পৃষ্ঠায় কলমের কালিতে কাঁপা-কাঁপা, আঁকাবাকা হরফে লেখা, “মশিউল আলমের ‘প্লেটোর ইউটোপিয়া ও অনান্য প্রসঙ্গ’ শিরোনামে বার্ট্রাড রাসেলের, আ হিস্টোরি অব ওয়েস্টার্ন ফিলোসফি থেকে অনুবাদ বইটি আকারে ছোট হলেও গুরুত্বের দিক থেকে মূল্যবান ! …মশিউল আলমের অনুবাদের হাতটি দক্ষ এবং প্রাঞ্জল ।" এবং তাঁর সাথে প্রাসঙ্গিক আরো কিছু কথা বার্তা। তা পৃষ্ঠা জুড়ে হাতে লেখা এই অংশটুকু পড়বার সময় কেমন যেন… কোনো এক মায়াময়, ফেলে-আসা জীবন্ত এক সময়ে চলে যাচ্ছি এমন একটা অনুভুতি হচ্ছিলো, যদিও উনার বক্তব্যের সাথে পুরোপুরি একমত হওয়া (বিশেষ করে ওই ‘প্রাঞ্জল’ শব্দটায় ) সাধারণ আমজনতার পক্ষে বেশ কঠিন ,অবশ্য অনুবাদকেও ঠিক দোষ দেওয়া যায় না সম্ভবত…!! এই যেমন, যখনকার কথা বলা হয়েছে এই বই তে, সে সময়ে অনেক রথী মহারথীই বিশ্বাস করতেন সংখ্যাই হলো বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের ব্যাখ্যা, তা মোটা দাগে একটা পর্যায় পর্যন্ত সেটা হয়তো ঠিকও আছে কিন্তু সব কিছুতে সংখ্যা টেনে আনতে গেলে তা হজম করা দূঢ়হ হয়ে যায় …একটা উদাহরণ দিই, প্লেটোর সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে সংলাপের একটা জায়গায় আছে , “বস্তু জগতের প্রকৃত উপাদান মাটি, বাতাস, আগুন আর পানি নয় বরং দুই ধরনের সমকোণী ত্রিভুজ; একটা হলো বর্গক্ষেত্রের অর্ধেক আরেকটা হলো সমভুজ ত্রিভুজের অর্ধেক। বলা হয়েছে এই দুই ধরনের ত্রিভুজ হলো সর্বাপেক্ষা সুন্দর আকার আর তাই বস্তু সৃষ্টির কাজে ইশ্বর সেগুলো ব্যাবহার করেছেন !! … মাটির পরমাণু গুলো হলো কিউব , আগুনের পরমাণু টেট্রাহেড্রা, বাতাসের ওক্টাহেড্রা এবং পানির ইকোসোহেড্রা !!” কী একটা অবস্থা… মানে দার্শনিকের বক্তব্য বিষয়ই যদি এমন হয় অনুবাদক আর কী করবেন :)
. المزيد..